ফুটবল বিশ্বে গত কদিন ধরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলির একটি লিওনেল মেসির সৌদি আরব সফর। ক্লাব পিএসজির অনুমতি না নিয়ে এশিয়ার দেশটিতে যাওয়ায় শাস্তিও পেয়েছেন তিনি। পুরো বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। ক্ষমা চেয়েছেন তিনি ক্লাব সতীর্থদের কাছে।
লিগ ওয়ানে গত রোববার লরিয়ঁর বিপক্ষে পিএসজির ৩-১ গোলে হারের পরদিন স্বপরিবারে সৌদি আরবে উড়াল দেন মেসি। দেশটির পর্যটনের শুভেচ্ছাদূত তিনি।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মেসিকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করে পিএসজি। এই সময়ে ম্যাচ খেলা বা অনুশীলন করতে পারবেন না বার্সেলোনার সাবেক ফরোয়ার্ড। তার দুই সপ্তাহের বেতনও কেটে নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমের খবর।
পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেসির এই শাস্তিতে তার নিজের কোনো ভূমিকা নেই। এ দিনই পরে ইনস্টাগ্রামে ভিডিও বার্তায় পুরো ঘটনা নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন দ’অর জয়ী তারকা।
“যা ঘটছে তার সব কিছু বিবেচনা করে আমি এই ভিডিওটি বানাতে চেয়েছি। প্রথমত, আমি আমার ক্লাব ও সতীর্থদের কাছে আবারও ক্ষমা চাইছি। সত্যি বলতে আমি ভেবেছিলাম, ম্যাচের পরদিন আমরা ছুটি পাব, যেমনটা আগের কয়েক সপ্তাহে পেয়েছিলাম। সে কারণে আমি সৌদি আরবে এই সফরটা ঠিক করেছিলাম। এর আগে আমি এমন সফর বাতিল করেছি, এবার পারিনি।”
“আমি যা করেছি তার জন্য আবারও আমি ক্ষমাপ্রার্থী। ক্লাবের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেব। আলিঙ্গন।”
ম্যাচ জেতার পর সাধারণত সোমবার ছুটি পান পিএসজির খেলোয়াড়রা। কিন্তু লরিয়ঁর বিপক্ষে হারার পর সেদিন তারা অনুশীলন করে। মেসির দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারে এমন শৃঙ্খলা ভাঙার নজির বেশ বিরল।
পিএসজির সঙ্গে এখনও চুক্তি নবায়ন না করায় গত কয়েক মাস ধরেই আর্জেন্টাইন মহাতারকার দলবদল নিয়ে বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জন। ফ্রান্সের গণমাধ্যমের খবর, লিগ ওয়ানের ক্লাবটিতে আর থাকার ইচ্ছা নেই ৩৫ বছর বয়সী মেসির। এই ব্যাপারটা নাকি এরই মধ্যে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমের পরই শেষ হবে চুক্তির মেয়াদ।